বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৩ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
সাগরমোহনা ঘেঁষা আন্ধারমানিক নদী তীরের নিজামপুর গ্রামের ২২৭ কোমলমতি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে।আগ্রাসী আন্ধারমানিক জনপদ,বাড়িঘর,কৃষিজমি গিলে খেয়েছে।এখন অত্যাধুনিক স্কুল কাম আশ্রয়কেন্দ্রসহ দুটি ভবন গিলে খাওয়ার জন্য ছোবল দিচ্ছে।প্রবল জোয়ারে ডুবে যায় বিদ্যালয় আঙিনাসহ মূল ভবনের সিড়ি।ঢেউয়ের ঝাপটা লাগে ভবনের পিলারে।কোমলমতি শিশুরা জোয়ারে স্কুলে আসতে কাপড়-চোপড় ভিজে যায়।যেন এখন ভবন দু’টির ওপর রাক্ষুসে আন্ধারমানিক ছোবল দেয়ার জন্য হামলে পড়বে।এমন শঙ্কায় শঙ্কিত গ্রামের সকল শিশু শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক ও অভিভাকরা।তাঁরা শুধু লেখাপড়ার অবলম্বন বিদ্যালয় ভবন দু’টি হারানোর শঙ্কায় নেই।হারাবেন দুর্যোগকালীন জলোচ্ছ্বাস থেকে জীবন রক্ষার আশ্রয় কেন্দ্রটি।মানুষের দুশ্চিন্তার যেন শেষ নেই।ক্লাশ থ্রি পড়ুয়া সুরাইয়া,রিমতির মতো অবুঝ শিশুর মনেও শঙ্কা তাঁদের স্কুলভবনটি কবে নদীতে ভেসে যাবে।আন্ধারমানিকে চোখ পড়লে এসব শিশুদের হৃদয়ে কাপন ধরে যায়।এরই মধ্যে চলছে পাঠদান। ্সকলের দাবি অন্তত দ্রুত নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধটির কাজ শেষ করা হয়।নিজামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল হক ভদ্র বলেন,বর্তমানে চার জন শিক্ষকসহ ২২৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
আগে অনেক বেশি ছিল।নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থী।জানালেন,২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে ৯০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় আধুনিক এই ভবনটি করা হয়েছে।এখন চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।দেখালেন স্কুলের ভিটেমাটি প্রায় পুরোটাই নদীতে ভেঙ্গে গেছে।বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান,আমরা কয়েকবার বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেছি স্কুলটি রক্ষা করার জন্য।কয়েকবার মেরামত কিংবা রিং বেড়িবাঁধ করা হয়েছে।কিন্তু কাজে আসছেনা।এ বছর কাজ শুরু হলেও এক ঠিকাদার করছে গাফিলতি।তিনি জানান,তিনটি গ্রামের মধ্যে এই একটি মাত্র স্কুল।ভেঙ্গে গেলে আমাদের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে।তার দাবি সঠিক ভাবে বেড়িবাঁধটি করার।স্থানীয় বাসীন্দা বেলায়েত খাঁন বলেন,‘ওই স্কুলের মতোন আমার ঘরটির একই অবস্থা।
থাকার কোনো জায়গা নেই।গেলো মাসে রাস্তা বানছে।দ্যাহেন,আমার ঘরের সঙ্গে,কোনায় দিয়া রাস্তা মিশে গেলেও এহন ঘরের সামনে রাস্তার তিন ভাগের দুই ভাগ মাটি ভাইঙ্গা গেছে।’পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকেীশলী মো.আবুল খায়ের জানান,নিজামপুরে বাঁধ মেরামতে তিনটি প্যাকেজে ৯০ লাখ টাকা মাটির কাজ শুরু হয়েছিল।কিন্তু ঠিকাদার মাটি না পাওয়ায় বাঁধ মেরামত করতে পারছে না।তবে এ বাঁধ মেরামতে করলে ভাঙ্গন কবল থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষা পাবে।জরুরী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।তবে স্থানীয়দের অভিযোগ একজন ঠিকাদার যে পরিমান রয়েলিটি রয়েছে তা না দেয়ায় কাজে সমস্যা হয়েছে।
Leave a Reply